দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এর ফলে সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রালারদের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ স্থানে থাকতে বলা হয়েছে। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বিশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি ঘনীভূত হতে পারে।

লঘুচাপটি নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে জানান আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মো. ওমর ফারুক। আজ দুপুরে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিম্নচাপে রূপ নিলে নিশ্চিত হওয়া যাবে যে এর গতিপথ কোন দিকে হবে। তবে আপাতত মনে হচ্ছে, ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এটি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে ২৮ অক্টোবর বিকেলে কিংবা ২৯ অক্টোবর সকালে আঘাত হানতে পারে।

মো. ওমর ফারুক আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি যদি অন্ধ্র প্রদেশে আঘাত হানে, তাহলে এর পর থেকে বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বৃষ্টি হবে। আর এই বৃষ্টি হলে কয়েক দিন তাপমাত্রা কম থাকবে। তবে শীত পড়ার মতো তাপমাত্রা কমবে না। নভেম্বরের শেষ দিকে বা ডিসেম্বরের আগে বাংলাদেশে শীত পড়ার সম্ভাবনা কম।

এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ থেকে আগামী পাঁচ দিনের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় আজকে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

২৭ অক্টোবর পর্যন্ত আবহাওয়া প্রায় একই রকম থাকতে পারে। তবে ২৮ অক্টোবর চট্টগ্রামের পাশাপাশি খুলনা এবং বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। এ সময় সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, আজ সকালে সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ২০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রাজধানী ঢাকায় যা ছিল ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।